Skip to content

বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন

গঠনতন্ত্র 



ধারা-১

নাম ও উদ্দেশ্য

১নং বিধি

এই সংগঠন বাংলাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের ট্রেড ইউনিয়নসমূহের কেন্দ্রীয় ফেডারেশন তথা কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। এ সংগঠন ‘বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন’ নামে অভিহিত হবে এবং অত:পর এই গঠনতন্ত্রে শুধুমাত্র ফেডারেল ইউনিয়ন বা ফেডারেশন বলে উল্লেখিত হবে। এর ইংরেজি নামকরণ হবে BFUJ-Bangladesh Federal Union of Journalists সংক্ষেপে (BFUJ) [বিএফইউজে]।

এই গঠনতন্ত্রের অনুমোদিত ইউনিয়ন বা অনুমোদিত ইউনিট বলতে ফেডারেল ইউনিয়নের অনুমোদিত ইউনিয়নকে বুঝাবে।

২নং বিধি

ফেডারেল ইউনিয়নের উদ্দেশ্য:

১। সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত সকল সদস্যের পেশাগত মর্যাদা ও অধিকার সংরক্ষণ ও পেশাগত উৎকর্ষ সাধন এবং দেশে-বিদেশে পেশাগত শিক্ষামূলক সফরের ব্যবস্থা করা।

২। বাংলাদেশের বাংলা, ইংরেজি ও অপর যেকোন ভাষায় সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের আর্থিক ও সাংস্কৃতিক কল্যাণ সাধন এবং সাংবাদিকতার স্বাধীনতা রক্ষা ও মান উন্নয়ন।

৩। বেতন ও চাকুরীর শর্তাবলী এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সদস্যদের বৈধ অধিকার সংরক্ষণ।

৪। প্রয়োজনবোধে চাকরি লাভ ও তৎসংশ্লিষ্ট ব্যাপারে সদস্যদের সহায়তা দান।

৫। পেশাগত কাজের দরুন কোনরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে যথাসম্ভব সাহায্যদান।

৬। শ্রমবিরোধ সংক্রান্ত ব্যাপারে সদস্যদের স্বার্থ রক্ষা।

৭। সদস্যদের জন্য কল্যাণ এবং বেকারত্ব, বার্ধক্য, মৃত্যুহেতু, প্রাপ্য ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তহবিল গঠন ও পরিচালনা।

৮। ফেডারেল ইউনিয়নের মুখপত্র প্রকাশ ও সদস্যদের জন্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রম গ্রহণ।

৯। অনুমোদিত ইউনিয়নের কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় সবরকম সাহায্য-সহযোগিতা করা।

১০। সদস্যদের মধ্যে যৌথ কর্মোদ্যোগ ও পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব এবং ভ্রাতৃত্ববোধকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা।

১১। প্রয়োজনবোধে সংবাদপত্র এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন এবং নির্দিষ্ট কর্মসূচীর ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম গ্রহণ করা।

৩নং বিধি

ফেডারেল ইউনিয়নের রেজিস্ট্রিকৃত অফিস থাকবে ঢাকায়। তবে ফেডারেল ইউনিয়নের মহাসচিবের সুবিধার্থে ফেডারেল নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে অনুমোদিত কোন একটি ইউনিয়নের এলাকায় ফেডারেল ইউনিয়নের কার্যকরী অফিস স্থাপন করা যাবে।

ধারা-২

সদস্যপদ

১নং বিধি

ফেডারেল ইউনিয়নের অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহই সদস্যপদ প্রদান করবে এবং এই সদস্যপদ প্রাপ্ত সকলেই ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যরূপে গণ্য হবেন।

২নং বিধি

কোন সদস্য একই সময়ে ফেডারেল ইউনিয়নের একাধিক অনুমোদিত ইউনিয়নের সদস্য থাকতে পারবেন না। কোন সদস্য সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম শিল্পে নিয়োজিত কর্মচারীদের অপর কোন ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হতে পারবেন না।

ধারা-৩

সদস্য সংখ্যা, তালিকা ও বদলী

১নং বিধি

অনুমোদিত ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩০ জন সদস্য থাকতে হবে। কোন সংবাদপত্র কেন্দ্রে বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম কেন্দ্রে পেশাদার সাংবাদিকের সংখ্যা ৩০ জনের কম হলে বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে নিকটবর্তী/সুবিধাজনক কোন অনুমোদিত ইউনিয়নের সদস্য হতে পারবেন। সংবাদপত্র কেন্দ্র বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম কেন্দ্র বলতে যেখান থেকে দৈনিক সংবাদপত্র প্রকাশিত বা যেখান থেকে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম সম্প্রচারিত হয় তা বুঝাবে। অনুমোদিত ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা কোন কারণে ৩০ জনের নিচে নেমে গেলে তার অনুমোদন বহাল রাখা হবে কি না সে সম্পর্কে ফেডারেল নির্বাহী পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে এবং অনুমোদন বাতিল করা হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সদস্যগণ গঠনতান্ত্রিকভাবে এই ইউনিয়নের বিলুপ্তি সম্পন্ন করে নিকটবর্তী বা বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে কোন অনুমোদিত ইউনিয়নের সদস্য হতে পারবেন।

২নং বিধি

অনুমোদিত ইউনিয়নকে সর্বশেষ ভোটার তালিকা ফেডারেল ইউনিয়নের ত্রিবার্ষিক প্রতিনিধি সভা ও নির্বাচনের ১ (এক) মাস পূর্বে ফেডারেল ইউনিয়নের কাছে পাঠাতে হবে।

৩নং বিধি

প্রয়োজনে অনুমোদিত এক ইউনিয়ন থেকে অপর ইউনিয়ন সদস্যপদ বদলি করা যাবে। যদি কোন সদস্য স্থায়ীভাবে কর্মস্থল পরিবর্তন করেন তবে তিনি পূর্বে যে অনুমোদিত ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন সেই ইউনিয়নের সম্মতিসূচক পত্রসহ নতুন কর্মস্থলে অনুমোদিত ইউনিয়নের সদস্যপদের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সাথে সাথে তিনি সেখানকার অনুমোদিত ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে গৃহীত হবেন। অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহ সকল বদলির বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই ফেডারেল ইউনিয়নকে জানাবে।

ধারা-৪

সদস্যদের দায়দায়িত্ব ও অধিকার

১নং বিধি

প্রত্যেক সদস্যের দায়িত্ব পালন হবে সম্পূর্ণ শর্তহীন এবং অবৈতনিক।

ধারা-৫

সদস্য চাঁদা

১নং বিধি

অনুমোদিত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সদস্যদের চাঁদার হার নিজস্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিরূপণ করবে। তবে সদস্যদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদার ২৫ শতাংশ বিএফইউজেকে প্রদান করতে হবে। অনুমোদিত ইউনিয়ন তার কার্যকালের সর্বশেষ সদস্য তালিকা ফেডারেল ইউনিয়নের কাছে পাঠানোর সময়ই তালিকা অনুযায়ী এই অর্থ ফেডারেল নির্বাহী পরিষদের ব্যাংক হিসেবে জমা দেবে।

২নং বিধি

অনুমোদিত ইউনিয়নগুলোর নিজস্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তহবিল সংগ্রহ ও হিসাব পরিচালনা করবে। তবে কোন বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হলে ফেডারেল ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদ তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে। এক্ষেত্রে ফেডারেল ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

ধারা-৬

ফেডারেল ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদ

১নং বিধি

ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে বিএফইউজেÑ অনুমোদিত অংগ ইউনিয়নের সদস্যদের সরাসরি প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ফেডারেল নির্বাহী পরিষদই ফেডারেল ইউনিয়নের সকল কাজকর্ম সম্পাদন করবে। এই নির্বাহী পরিষদ ইংরেজিতে ঋঊউঊজঅখ ঊঢঊঈটঞওঠঊ ঈঙটঘঈওখ বা ঋঊঈ (এফইসি) বলে অভিহিত হবে। এফইসির গঠন কাঠামো হবে নি¤œরূপ :

ক) একজন সভাপতি, ৮ জন সহ-সভাপতি (প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগের জন্য একটি পদ সংরক্ষিত থাকবে), একজন মহাসচিব, (সেক্রেটারী জেনারেল), ৮ জন যুগ্ম মহাসচিব (প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগের জন্য একটি পদ সংরক্ষিত থাকবে), একজন কোষাধ্যক্ষ, একজন দফতর সম্পাদক (ডিইউজের জন্য সংরক্ষিত থাকবে) এবং ডিইউজের জন্য ৪টি এবং বাকী অঙ্গ ইউনিয়নগুলোর প্রত্যেকটির জন্য দুটি করে সদস্যপদ সংরক্ষিত থাকবে। তবে শর্ত থাকে যে প্রশাসনিক বিভাগের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সমহারে সহ-সভাপতি, যুগ্ম মহাসচিব এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বিএফইউজের সকল কর্মকর্তা ও সদস্য অংগ ইউনিয়নের সদস্যদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। ডিইউজে থেকে নির্বাচিত ৪ জন সদস্য এফইসি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাড়তি দায়িত্ব পালন করবেন (যেমন: প্রকাশনা, অনুষ্ঠান আয়োজন ইত্যাদি)। সকল কর্মকর্তা পদে সারাদেশের বিএফইউজের ভোটারদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতে হবে।

খ) সভাপতি ইচ্ছা করলে এক বা একাধিক ইউনিয়নের দু’জন সদস্যকে এফইসির সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিতে পারবেন। তবে ন্যূনতম একজন মহিলা সদস্য হবেন। এফইসি’র এই ধারা অনুমোদিত ইউনিয়নগুলোও অনুসরণ করবে যাতে সংগঠনে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি পায়।

গ) অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে পূর্ণ ভোটাধিকারসহ এফইসির সদস্য হবেন।

ঘ) এফইসি’র বিদায়ী সভাপতি ও মহাসচিব পরবর্তী এফইসি’র সদস্য থাকবেন। তবে শর্ত থাকে যে, তাঁরা নির্বাচনে প্রার্থী হলে সেই অধিকার থাকবে না।

২নং বিধি

কোন সদস্য পর পর দু’বারের বেশী ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একই পদে কর্মকর্তা থাকতে পারবেন না। অনুমোদিত ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ফেডারেল ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তা পদে প্রার্থী হতে পারবেন না। অনুরূপভাবে ফেডারেল ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তা অনুমোদিত ইউনিয়নের কর্মকর্তা পদে প্রার্থী হতে পারবেন না। শর্ত থাকে যে, প্রার্থী হলে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পূর্বে তাদেরকে বর্তমান পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

৩নং বিধি

ফেডারেল নির্বাহী পরিষদ (এফইসি) তিন (৩) বছরের জন্য নির্বাচিত হবে এবং এই তিন (৩) বছর একটি কার্যকাল বা একবার বলে বিবেচিত হবে।

৪নং বিধি

ফেডারেল নির্বাহী পরিষদে সভাপতি ও মহাসচিব ব্যতীত অর্ধেকের কম সদস্যের পদ শূন্য হলে এফইসি মনোনয়ন দিয়ে ঐ শূন্যপদসমূহ পূরণ করবে।

সভাপতি ও মহাসচিব বা নির্বাহী পরিষদের অর্ধেক সদস্যের পদ শূন্য হলে নির্বাচনের মাধ্যমে ঐ শূন্যপদসমূহ পূরণ করতে হবে। (শূন্যপদ গণনার ক্ষেত্রে মনোনয়ন দিয়ে পূরণ করা পদগুলোও হিসেবে ধরতে হবে)।

৫নং বিধি

নির্বাচনে অথবা অবস্থানুযায়ী উপনির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা অনুযায়ী সহ-সভাপতির ক্রম নির্ধারিত হবে। তবে নির্বাচন না হলে পেশায় জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী ক্রম নির্ধারিত হবে। সমসংখ্যক ভোটপ্রাপ্ত হলে এই ক্ষেত্রে প্রতিনিধি/কাউন্সিলর সভার সভাপতির কাস্টিং ভোটে এই ক্রম নির্ধারিত হবে। একইভাবে যুগ্ম মহাসচিবের ক্রম নির্ধারিত হবে।

৬নং বিধি

ফেডারেল ইউনিয়নের আর্থিক বছর ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা হবে। তবে বিদায়ী বছরের জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব হস্তান্তরের পূর্ব পর্যন্ত যাবতীয় খরচের হিসাব লিপিবদ্ধ আকারে পরবর্তী কমিটিকে বুঝিয়ে দিতে হবে।

ধারা-৭

এফইসি’র ক্ষমতা

১নং বিধি

ফেডারেল ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ নেই এরূপ কোন বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা স্বীয় বিবেচনায় এফইসি’র থাকবে এবং যেকোন বিতর্কমূলক বিষয়ে ফেডারেশনের রুলিংদানের ক্ষমতাও থাকবে। যা একমাত্র প্রতিনিধি সম্মেলনে অনুমোদন বা অগ্রাহ্য করা চলবে।

২নং বিধি

অনুমোদিত ইউনিয়নের অথবা তাদের মধ্যে বিরোধমূলক যেকোন ব্যাপারে সালিশী করার ক্ষমতা এফইসির থাকবে এবং আবেদনের ভিত্তিতে প্রতিনিধি সম্মেলনে সংশোধন সাপেক্ষে এফইসি কর্তৃক প্রদত্ত রায় সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ও তাদের ওপর প্রযোজ্য হবে।

৩নং বিধি

ইউনিয়নসমূহকে নির্দেশ জারি করার ক্ষমতা এফইসির থাকবে। এফইসি’র এই নির্দেশ হবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের প্রতি বাধ্যতামূলক।

৪নং বিধি

কোন সংবাদপত্র কেন্দ্রে বা ইলকট্রনিক গণমাধ্যম কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর যদি তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন প্রভাবিত হয়েছে বলে এফইসির কাছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য নিজ স্বাক্ষরে আবেদন জানালে এবং সে প্রেক্ষিতে পুরোপুরি তদন্তশেষে এফইসি যদি এরূপ নিশ্চিত হন যে, নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি তবে এক মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আদেশ প্রদান এবং এই উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা এফইসির থাকবে।

৫নং বিধি

যদি কোন সদস্য অথবা কর্মকর্তা ফেডারেল ইউনিয়নের তহবিল তসরুফ করেছেন অথবা হিসেবের কারচুপি করেছেন এরূপ সন্দেহ হয় এবং তদন্তে তার সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে ঐ সদস্য অথবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এফইসি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

৬নং বিধি

যেকোন ইউনিয়নের কার্যবিবরণী ও কার্যধারা অথবা তার হিসাব পরীক্ষা করার অধিকার এফইসির থাকবে। অনুমোদিত কোন ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদের যেকোন সভা অথবা সাধারণ সভায় পর্যবেক্ষক হিসেবে যোগদানের জন্য একাধিক সদস্যকে পাঠাবার অধিকার এফইসির থাকবে এবং এই পর্যবেক্ষকগণ সভায় বক্তৃতা করতে পারবেন কিন্তু ভোট দিতে পারবেন না।

৭নং বিধি

ফেডারেশনের ত্রিবার্ষিক প্রতিনিধি সম্মেলন ও নির্বাচনের তারিখ, সময়সূচি ও স্থান এফইসি নির্ধারণ করবে। প্রতিনিধি সম্মেলন ও নির্বাচনের তারিখ স্থান ও সময়সূচি অনুমোতি ইউনিয়নগুলোকে ৮ সপ্তাহ পূর্বে জানাতে হবে।

৮নং বিধি

অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহের মধ্যে বিরোধ-মীমাংসার জন্য ট্রাইব্যুনাল নিয়োগের ক্ষমতা এফইসির থাকবে। ট্রাইব্যুনালের রায় এফইসি আবেদনক্রমে সংশোধন করতে পারবে এবং তা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

৯নং বিধি

কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে যেক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রে কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই সেক্ষেত্রে এফইসি’র স্বীয় বিচার-বিবেচনা মতে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে আর তা প্রতিনিধি সম্মেলনে অবশ্যই অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।

১০নং বিধি

এই গঠনতন্ত্রের অন্যান্য ব্যবস্থা সাপেক্ষে এফইসির কোন কর্মকর্তা অথবা সদস্যের উপর কিংবা এফইসি কর্তৃক নিযুক্ত কোন সাব কমিটির সদস্য অথবা সদস্যদের ওপর যেকোন কাজের ভার অথবা কর্তব্য ও দায়িত্ব স্থির করে দেয়ার ক্ষমতা এফইসির থাকবে।

১১নং বিধি

অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহ অথবা বিএফইউজে সদস্যদের পথনির্দেশের জন্য কর্মপদ্ধতি কিংবা অপর যেকোন বিষয়ে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা এফইসির থাকবে। বিএফইউজের প্রতিনিধি সম্মেলনে তা অগ্রাহ্য কিংবা বাতিল করা যাবে।

ধারা-৮

এফইসি’র কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা

১নং বিধি

এফইসির সভাপতি এবং মহাসচিব সাধারণভাবে ফেডারেল ইউনিয়নের সকল ব্যাপারে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

২নং বিধি

সাধারণভাবে ফেডারেল ইউনিয়নের সভাপতি ফেডারেল ইউনিয়নের সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে নির্ধারিত ক্রম অনুযায়ী একজন সহ-সভাপতি তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন।

৩নং বিধি

সকল সভার বিবরণ ও অফিসের কাগজপত্র রাখার দায়িত্ব ফেডারেল ইউনিয়নের মহাসচিবের। সভাপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে মহাসচিব এফইসি’র সকল সভা ও বৈঠক ডাকবেন ও তা পরিচালনা করবেন। তিনি ফেডারেল ইউনিয়নের সকল কার্যপরিচালনার মূল দায়িত্ব বহন করবেন এবং সকল কার্য সম্পাদনের জন্য দায়ী থাকবেন। মহাসচিব ত্রিবার্ষিক প্রতিনিধি সম্মেলনে ফেডারেল নির্বাহী পরিষদের কার্যকালের কর্মতৎপরতা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিবরণ সম্বলিত এফইসির অনুমোদিত রিপোর্ট চূড়ান্তভাবে গ্রহণের জন্য পেশ করবেন। তার অনুপস্থিতিতে প্রাপ্ত ভোটের ক্রম অনুযায়ী একজন যুগ্ম মহাসচিব এই দায়িত্ব পালন করবেন। অপর যুগ্ম মহাসচিবদের কাজের দায়িত্ব (যথা প্রটোকল ও সাংগঠনিক) ফেডারেল ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদ স্থির করবে। এফইসির কোষাধ্যক্ষ ফেডারেল ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সর্বপ্রকার আদায়কৃত অর্থ এবং ব্যয় সংক্রান্ত হিসাবের জন্য দায়ী থাকবেন। তিনি ত্রিবার্ষিক প্রতিনিধি সম্মেলনে এফইসির নির্দিষ্ট কার্যকলাপের আর্থিক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব সংবলিত এফইসির অনুমোদিত এবং অডিটকৃত রিপোর্ট চূড়ান্তভাবে গ্রহণের জন্য পেশ করবেন। দান অথবা চাঁদার রসিদে ফেডারেল ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর থাকতে হবে।

৪নং বিধি

এফইসির সকল পদ হবে অবৈতনিক। তবে দফতরের কার্যনির্বাহের জন্য প্রয়োজনবোধে এফইসি বেতনভোগী সহকারী নিয়োগ করতে পারবে।

ধারা-৯

এফইসির সভা

১নং বিধি

সাধারণভাবে এফইসির সভা অনুষ্ঠানের জন্য ১০ দিনের (বিজ্ঞপ্তি দেয়া থেকে দশ দিন) সময় দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তি ব্যক্তিগভাবে সকল সদস্যকেই রেজিস্টার্ড চিঠি অথবা বার্তাবাহক/ই-মেইল মারফত পাঠাতে হবে। এই বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্যই সভার স্থান, তারিখ ও আলোচ্যসূচির উল্লেখ থাকতে হবে।

২নং বিধি

জরুরি কর্মপন্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে কমপক্ষে ৩ (তিন) দিন সময় দিয়ে বার্তা বাহক/ই-মেইল অথবা মোবাইল/ফোন মারফত এফইসির জরুরি সভা ডাকা যেতে পারে।

৩নং বিধি

প্রয়োজনবোধে এফইসি যেকোন সময় সাধারণভাবে বৈঠকে মিলিত হতে পারবে। অবশ্য বছরে কমপক্ষে ৮টি বৈঠক হতে হবে।

৪নং বিধি

সভাপতি ও সহ-সভাপতি কেউ উপস্থিত না থাকলে এফইসির যেকোন একজন সদস্যকে সভার সভাপতি নির্বাচন করা হবে।

ধারা-১০

কোরাম

১নং বিধি

এফইসির সাধারণ ও জরুরি সভা অনুষ্ঠানের জন্য এফইসির মোট সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতি থাকতে হবে। অবশ্য তলবী সভার ক্ষেত্রে এফইসির দুই-তৃতীয়াংশ সস্যের উপস্থিতি অপরিহার্য।

২নং বিধি

প্রতিনিধি সম্মেলন অথবা বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে মোট প্রতিনিধিদের শতকরা ৫১ ভাগ উপস্থিত থাকলে সম্মেলন বৈধ বলে গণ্য হবে। তবে গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং এফইসির কোন কর্মকর্তা অথবা সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের ক্ষেত্রে আহূত বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকলে সম্মেলন বৈধ বলে গণ্য হবে না।

ধারা-১১

প্রতিনিধি সম্মেলন

১নং বিধি

কোন রাজনৈতিক, প্রাকৃতিক ও সামাজিক দুর্যোগ (রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দুর্যোগের অর্থ হবে মার্শাল ল’ সিভিল ওয়ার ইত্যাদি) বাধা হয়ে না দাঁড়ালে ত্রিবার্ষিক প্রতিনিধি সম্মেলন ও এফইসির নির্বাচন ৩ (তিন) বসর অন্তর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রতিনিধি সম্মেলন একটি নির্ধারিত স্থানে অনুষ্ঠিত হবে এবং সম্মেলনের ৩ (তিন) সপ্তাহের মধ্যে গোপন ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ক) প্রতিটি অনুমোদিত ইউনিয়ন সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী প্রতি দশজন সদস্যের জন্য একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি বা কাউন্সিলর বিএফইউজের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পাঠানোর অধিকারী। এই নির্ধারিত এককের ক্ষেত্রে ভগ্নাংশ যদি ছয় বা ততোধিক হয় তবে ঐ ভগ্নাংশ অর্থাৎ ছয় বা ততোধিক সদস্যের ক্ষেত্রে একজন প্রতিনিধি পাঠানো যাবে। তবে শর্ত থাকে যে, মৃত্যুজনিত কারণ, পেশা বদল, শৃঙ্খলাজনিত কারণ বা অন্য কোন কারণে যাদের নাম অঙ্গ ইউনিয়নের তালিকা থেকে বাদ পড়বে বা সদস্যপদ খারিজ হবে, বিএফইউজের কাউন্সিলর তালিকা থেকেও তাদের নাম বাদ যাবে।

খ) এই কাউন্সিলর নির্বাচন বিএফইউজের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের জন্য ধার্য তারিখের কমপক্ষে নয় সপ্তাহ আগে সম্পন্ন করতে হবে এবং তাদের নাম এফইসিকে জানিয়ে দিতে হবে।

২নং বিধি

ত্রিবার্ষিক প্রতিনিধি সম্মেলন ও স্থান এবং নির্বাচনের তারিখ, সময়সূচী ও স্থান এফইসি স্থির করবে। প্রতিনিধি সম্মেলন ও নির্বাচনের তারিখ, স্থান ও সময়সূচী অনুমোদিত ইউনিয়নগুলোকে ১২ (বারো) সপ্তাহ পূর্বে জানাতে হবে।

৩নং বিধি

বিদায়ী সভাপতির সভাপতিত্বে কাউন্সিলররা মূল প্রতিনিধি সম্মেলনে মিলিত হবেন এবং প্রতিনিধি সম্মেলনের কাজ পরিচালনার জন্য সর্বপ্রথম একজন সভাপতি নির্বাচিত করবেন।

৪নং বিধি

এফইসির কর্মকর্তা ও সদস্যরা ত্রিবার্ষিক ও বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগদান ও ভাষণদানের অধিকারী। সভাপতি, মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষের ক্ষেত্রে ত্রিবার্ষিক ও বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগদান বাধ্যতামূলক এবং সভাপতির অনুমতি সাপেক্ষে তারা প্রশ্নের জবাবদানে বাধ্য থাকবেন।

৫নং বিধি

ত্রিবার্ষিক বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে একমাত্র প্রতিনিধিরাই ভোটদান, প্রস্তাব উত্থাপন ও গঠনতন্ত্রের সংশোধনের অধিকারী।

৬নং বিধি

ত্রিবার্ষিক/প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধনী সভায় অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহের যেকোন সদস্য উপস্থিত থাকতে পারবেন।

৭নং বিধি

ত্রিবার্ষিক/প্রতিনিধি সম্মেলন শেষে দুই (২) সপ্তাহের মার্চের মধ্যে এফইসির বিদায়ী কর্মকর্তারা নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের কাছে সকল সম্পদ ও হিসাব বুঝিয়ে দেবেন।

ধারা-১২

নির্বাচন

১নং বিধি

নবনির্বাচিত এফইসির প্রথম সভায় পরবর্তী নির্বাচন পরিচালনার জন্য একট কমিটি গঠন করবে। এই কমিটির নাম হবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এই কমিটিতে একজন চেয়ারম্যান ও ন্যূনতম ৫ জন সদস্য থাকবেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে এই ৫ জনের অতিরিক্ত ঢাকার দুইজন সদস্য ছাড়াও অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহ থেকে ২ জন করে সদস্য মনোনীত করা হবে। ঢাকার সদস্যরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করবেন। অনুমোদিত ইউনিয়নের সদস্যগণ চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী অনুমোদিত ইউনিয়ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। মনোনয়নপত্র বিতরণ, বাছাই, খসড়া ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ভোট গ্রহণ, ফলাফল ঘোষণাসহ নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়ে এই কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

২নং বিধি

নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নির্বাচন সংক্রান্ত আচরণবিধি প্রণয়ন করবে। এই আচরণবিধি প্রার্থীদের মেনে চলতে হবে। তবে নির্বাচন পরিচালনার যাবতীয় ব্যয় বহন করবে বিদায়ী কমিটি।

৩নং বিধি

প্রার্থীদের প্রতিটি মনোনয়নপত্রের জন্য ফি নির্ধারণ করবেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। বিদায়ী এফইসির সঙ্গে পরামর্শ করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই অর্থের ব্যবহার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে। উদ্বৃত্ত অর্থ বিদায়ী এফইসিকে দেয়া হবে।

৪নং বিধি

সাধারণভাবে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ব্যালটের মাধ্যমে। তবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেও ভোটগ্রহণ ও গণনা করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে বিদায়ী এফইসি’র সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সম্মতির পরই কেবল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।

৫নং বিধি

ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অথবা প্রতিনিধি সম্মেলন শেষে সম্মেলনের সভাপতি সভা মুলতবি করে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়িত্ব অর্পণ করবেন। নির্বাচন শেষে পুনরায় মুলতবী সভায় নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান অথবা কমিটির দায়িত্বশীল কোন সদস্য নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করবেন।

৬নং বিধি

প্রতিনিধি সম্মেলনের ৩ (তিন) সপ্তাহের মধ্যে বিএফইউজের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনের ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে নব নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।

৭নং বিধি

ধারা-১১ এর ১নং বিধি অনুযায়ী ত্রিবার্ষিক প্রতিনিধি সম্মেলন এবং ধারা-১২ এর ৬নং বিধি অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন না করতে পারলে বিদায়ী কমিটি বিলুপ্ত হবে এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বিএফইউজের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী ত্রিবার্ষিক সম্মেলন এবং নির্বাচন সম্পন্ন করবেন এবং নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন।

৮নং বিধি

নির্বাচন কমিশন ৭নং বিধি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলে বিএফইউজে এর যে কোন সাবেক সভাপতি ফেডারেশনের বিশেষ সাধারণ সভা ১ (এক) মাসের মধ্যে আহবান করিতে পারিবেন এবং উক্ত সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিনিধি সম্মেলন ও নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।

৯নং বিধি

বিএফইউজের সকল অনুমোদিত ইউনিয়ন এর সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী সকল অংগ ইউনিয়নে গোপন ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি, মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষ পদে সকল অংগ ইউনিয়নের ভোটারদের সরাসরি ভোটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিএফইউজের সভাপতি ও মহাসচিব পদে প্রার্থীদের অবশ্যই যে কোন অংগ ইউনিয়নে অন্তত এক মেয়াদের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে হবে এবং ঐসব পদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

১০নং বিধি

নির্বাচন কোন প্যানেল বা পরিষদভুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনুষ্ঠিত হবে না।

ধারা-১৩

বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলন

১নং বিধি

ক) বাংলাদেশে কার্যরত সাংবাদিকদের কোন বিশেষ জরুরি সমস্যা অথবা এক বা একাধিক সংবাদপত্র বা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম কেন্দ্রে কার্যরত সাংবাদিকদের ধর্মঘটের মতো কোন জরুরি অবস্থার উদ্ভব হলে ১ (এক) মাসের নোটিশে এফইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা আলোচনার জন্য বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলন আহবান করা যাবে।

খ) সভাপতি অথবা মহাসচিবের বিরুদ্ধে অথবা সমগ্রভাবে এফইসির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার্থে বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলন তলব করা যাবে।

২নং বিধি

প্রতিনিধি সম্মেলনের মতোই একই পরিসরে বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

ব্যাখ্যা

ত্রিবার্ষিক প্রতিনিধি সম্মেলনের সমাপ্তির পরেও এই সম্মেলনের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদের নতুন প্রতিনিধি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিলুপ্তি ঘটবে না এবং প্রয়োজনবোধে এফইসি জরুরি অবস্থায় এই প্রতিনিধি পরিষদকে বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনের জন্য পুনরায় আহবান করতে পারবে।

৩নং বিধি

সভাপতির বিরুদ্ধে যদি অনাস্থা প্রস্তাব না এসে থাকে তবে ফেডারেল ইউনিয়নের সভাপতি বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন। অনাস্থা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে অথবা তার অনুপস্থিতে সহ-সভাপতিদের একজন সভাপতির আসন গ্রহণ করবেন। মহাসচিবের ক্ষেত্রেও এই বিধি প্রযোজ্য হবে।

৪নং বিধি

বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে উত্থাপনের নিমিত্তে গঠনতন্ত্রের সংশোধনী সংক্রান্ত বা অনাস্থা প্রস্তাব ব্যতীত যে কোন প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য মহাসচিবের বরাবরে সরাসরি প্রস্তাব দিতে হবে। মহাসচিব এই প্রস্তাব প্রাপ্তির ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে সকল অংগ ইউনিয়ন এবং প্রতিনিধিদের লিখিতভাবে জানাবেন।

ধারা-১৪

তলবী সভা

১নং বিধি

নির্দিষ্ট জরুরি বিষয় আলোচনার্থে এফইসির দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য লিখিতভাবে এফইসির সভা তলব করতে পারবেন এবং মহাসবি তলবী নোটিশ পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই সভা আহবান করতে বাধ্য থাকবেন। তবে তিনি ব্যর্থ হলে তলবকারী সদস্যগণ ১৫ দিনের নোটিশ দিয়ে এফইসির তলবী সভা আহবান করতে পারেন এবং এই সভায় উপস্থিত তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের ভোটে গৃহীত সিদ্ধান্ত বৈধ বলে গণ্য হবে।

২নং বিধি

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ অনুমোদিত যেকোন ৩টি ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদ তাদের গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী কোন সংবাদপত্র কেন্দ্র ও ইলেক্টোনিক্স মিডিয়া কেন্দ্র অথবা সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সম্পর্কিত কোন নির্দিষ্ট জরুরি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনার জন্য বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলন তলব করতে পারেন। তলবী নোটিশ প্রাপ্তির ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই সম্মেলন অনুষ্ঠান এফইসির জন্য বাধ্যতামূলক। তলব প্রাপ্তির ছয় সপ্তাহের মধ্যে এফইসি ঐ সম্মেলন আহবানে ব্যর্থ হলে তলবকারী কার্যনির্বাহী পরিষদ যুক্তভাবে এক মাসের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলন আহবান করতে পারবে। তলবী সভায় উপস্থিত তিন-চতুর্থাংশ প্রতিনিধির ভোটে গৃহীত সিদ্ধান্ত বৈধ হবে।

ধারা-১৫

অনাস্থা প্রস্তাব

১নং বিধি

অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের উদ্দেশ্যে আহূত বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনেই একমাত্র এফইসির সভাপতি অথবা মহাসচিবের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা চলবে।

২নং বিধি

সামগ্রিকভাবে এফইসির বিরুদ্ধে অথবা এফইসির অর্ধেকের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করতে হলেও এ উদ্দেশ্যে আহূত বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনেই তা করা যাবে।

৩নং বিধি

বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের তিন চতুর্থাংশ ভোট প্রদত্ত না হলে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত বলে গণ্য হবে না।

৪নং বিধি

অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের উদ্দেশ্যে বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলন আহবান করার জন্য ফেডারেল ইউনিয়নের মহাসচিবের কাছে কমপক্ষে ৪ (চার) সপ্তাহের নোটিশ প্রদান করতে হবে। মহাসচিব অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ প্রাপ্তির ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে সকল প্রতিনিধিদের লিখিতভাবে অবহিত করবেন এবং ৪ (চার) সপ্তাহের মধ্যে বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলন আহবান করবেন।

ধারা-১৬

ভোট পদ্ধতি

১নং বিধি

ফেডারেল নির্বাহী পরিষদ, অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহের কার্যনির্বাহী পরিষদ অথবা ইউনিটের কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে যেখানেই হোক না কেন সকল নির্বাচনে ভোটের প্রথা গোপন ব্যালটে হবে এবং সকল সদস্য এতে অংশ নিতে পারবে।

ধারা-১৭

তহবিল

১নং বিধি

বিএফইউজের একটি তহবিল থাকবে। অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহের সদস্য চাঁদার ২৫ ভাগ ফেডারেশনকে পাঠাতে হবে।

২নং বিধি

বিএফইউজের তহবিল রাজধানী ঢাকার যেকোন তফসিলী ব্যাংকে সংরক্ষিত থাকবে। ব্যাংকের এই হিসাব বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষসহ সভাপতি অথবা মহাসচিবের মধ্যে যেকোন একজনের স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। তবে এক লক্ষ টাকার উপরে উত্তোলনের ক্ষেত্রে তিনজনের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক।

৩নং বিধি

এফইসি কর্তৃক অনুমোদন ছাড়া সভাপতি অথবা মহাসচিব অথবা কোষাধ্যক্ষ কেউই ২০ হাজার টাকার বেশি কোন সময়ই নিজের কাছে রাখতে পারবেন না।

৪নং বিধি

প্রতি এফইসির সভায় কোষাধ্যক্ষ ইউনিয়নের আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করবেন।

৫নং বিধি

বিএফইউজের একটি কল্যাণ তহবিল থাকবে। এফইসির অনুমোদিত বিধি অনুযায়ী এই তহবিল পরিচালিত হবে।

ধারা-১৮

শ্রম বিরোধ

১নং বিধি

সারা বাংলাদেশে ধর্মঘটের প্রয়োজন দেখা দিলে শুধুমাত্র ফেডারেল ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদই দেশব্যাপী ধর্মঘট আহবান করতে পারবে। তবে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহের সহযোগিতায় শ্রম আইন অনুযায়ী সকল সদস্যের গোপন ব্যালটের মাধ্যমে মতামত গ্রহণ করতে হবে।

২নং বিধি

অনুমোদিত ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদই স্ব স্ব এলাকায় ধর্মঘট আহবান করতে পারবে এবং ধর্মঘট পালনের পূর্বে গোপন ব্যালটে মতামত গ্রহণ করতে হবে।

৩নং বিধি

শ্রম আইন অনুযায়ী যেকোন বিধিসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব ও অধিকার সারা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ফেডারেল ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদের হাতে থাকবে এবং অনুমোদিত ইউনিয়নের এলাকায় ইউনিয়ন কার্যনির্বাহী পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

৪নং বিধি

২৪ ঘণ্টার প্রতীক ধর্মঘট আহবান করতে হলে ফেডারেল বা অনুমোদিত ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ ধর্মঘটের পক্ষে থাকতে হবে।

৫নং বিধি

উপরোক্ত বিধিসমূহের পদ্ধতি অনুসারে আহূত কোন ধর্মঘট, ওই ধর্মঘট আহবানকারী পরিষদই প্রত্যাহার করতে পারবে।

ধারা-১৯

শৃঙ্খলা

১নং বিধি

ফেডারেশন অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহকে গঠনতান্ত্রিক বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।

২নং বিধি

ফেডারেশনের সকল সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচী যথাযথভাবে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে হবে।

৩নং বিধি

অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহ আন্দোলন-সংগ্রামের কার্যক্রম ফেডারেশনকে অবহিত করতে হবে।

ধরা-২০

রুলিং

১নং বিধি

ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যার যেকোন প্রশ্নে রুলিংদানের ক্ষমতা এফইসির রয়েছে এবং ত্রিবার্ষিক বা বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে ঐ ব্যাপারে কোন রুলিং দিয়ে ফেডারেশন এফইসির রুলিংকে রদ ও অতিক্রম না করা পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে, চূড়ান্ত রুলিংদানের ক্ষমতা প্রতিনিধি সম্মেলনেরই রয়েছে।

ধারা-২১

গঠনতন্ত্রের সংশোধন

১নং বিধি

গঠনতন্ত্রের কোন ধারা সংশোধন করতে হলে ত্রিবার্ষিক বা এতদুদ্দেশ্যে আহূত বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনের দুই মাস পূর্বে সংশ্লিষ্ট ধারার প্রস্তাবিত সংশোধনীসহ ফেডারেশনের মহাসচিবের কাছে নোটিশ দিতে হবে। মহাসচিব উক্ত নোটিশ প্রতিনিধি সম্মেলনের তারিখের ন্যূনতম পক্ষে একমাস পূর্বে অনুমোদিত ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের কাছে প্রেরণ করবেন এবং সাধারণ সম্পাদকগণ ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের লিখিতভাবে অবহিত করবেন।

২নং বিধি

ত্রিবার্ষিক বা বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে গঠনতন্ত্রের সংশোধনী বিবেচনার জন্য দুই তৃতীয়াংশ প্রতিনিধির উপস্থিতি প্রয়োজন হবে। এরূপ সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রস্তাবিত সংশোধনী গৃহীত হবে।

ধারা-২২

বিলুপ্তি

১নং বিধি

প্রথমত : ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমোদিত ইউনিয়ন যদি ফেডারেল ইউনিয়নকে বিলুপ্ত করার উদ্দেশ্যে স্ব স্ব ইউনিয়নের সাধারণ সভা আহবান করেন এবং ওই সকল সভা একই বছরে অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিলুপ্ত করার প্রস্তাব তিন-চতুর্থাংশ ভোটে গৃহীত হয় তাহলে বিএফইউজে বিলুপ্ত করা যাবে, নতুবা নয় এবং এর জন্য কমপক্ষে ৩ মাস পূর্বে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।

দ্বিতীয়ত এর অব্যবহিত পরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নে বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে এরূপ বৈধ গৃহীত প্রস্তাব তিন-চতুর্থাংশ ভোটে অনুমোদিত হতে হবে এবং এই বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য কমপক্ষে ২ মাসের বিজ্ঞপ্তি সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ইউনিয়নসমূহ কর্তৃক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিবের কাছে পেশ করতে হবে।

২নং বিধি

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নকে বাতিল করার জন্য বৈধ সিদ্ধান্ত নেয়ার পর যে বিশেষ প্রতিনিধি সম্মেলনে এরূপ সিদ্ধান্ত অনুমোদন ও চূড়ান্ত হবে সেই প্রতিনিধি সম্মেলনে সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের সর্বাধিক স্বার্থরক্ষার অনুকূলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যাবতীয় দায় ও পরিসম্পদসমূহ হস্তান্তর করা যাবে।

* ১৯৯৩ সালের ২৩ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ জহিরুল হকের সভাপতিত্বে বিএফইউজের বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে গঠনতন্ত্রের কতিপয় ধারা সংশোধন করা হয়।